স্টাফ রিপোর্টারঃ
মাহমুদুর রহমান রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেসব পণ্যের দাম আরেক দফা বেড়েছে বাজারে। এখনও নৈরাজ্য চলছে চিনির দরে। খেজুরের দামও গেলো বছরের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ের বাড়তি চাহিদার প্রায় সব পণ্যের দামই এখন বেশ চড়া।
পুরো মাস এই বেসামাল বাজার পরিস্থিতি কিভাবে সামলাবে, সে আশঙ্কায় অস্বস্তিতে ভোক্তারা। গত কাল (২৪ মার্চ) শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। রমজান উপলক্ষে দেড়-দুই মাস আগ থেকে অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। বিশেষ করে মুরগি, মাংস, ডিম, সবজি, চিনি এবং বিভিন্ন মসলার দাম বেড়ে গেছে।
শুক্রবার ভোগ্যপণ্যের বাজারে প্রায় সব কিছুর দাম ছিল আকাশ ছোঁয়া। বেশির ভাগ ভোগ্য পণ্যের দাম সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। শুক্রবার পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইফতারির মুখরোচক খাবার বেগুনির উপাদান বেগুনের দাম তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শসার দামও দ্বিগুণ বেড়ে দেশি শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শরবত তৈরির প্রধান উপকরণ লেবুর দামও বেড়ে রেকর্ড ছুঁয়েছে। যে লেবু তিন দিন আগে বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা হালি সেই লেবু প্রথম রমজানে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা হালি। একদিনের ব্যবধানে লেবুর হালিতে বেড়েছে ২0 টাকা। বাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, নতুন করে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দামও বেড়ে গেছে।
পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং দেশি আদা কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা,৩০ টাকার লাউ বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা, মূল্য বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে করলা। এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।