বোরো চাষে ব্যস্ত ঈশ্বরদীর চাষিরা

বোরো চাষে ব্যস্ত ঈশ্বরদীর চাষিরা

রাজশাহী

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধিঃ

মাহমুদুর রহমান বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ অধিকাংশ খেত এখন সবুজে ভরে উঠেছে। এ সবুজ ধান খেতই কিছুদিন পর সোনালি রঙ ধারণ করবে। তখন হাসি ফুটবে কৃষকের মুখে। ভোরের আলো ফুটতেই কোমর বেঁধে ফসলের মাঠে নেমে পড়ছেন তারা।

আর গোলায় উঠবে নতুন ধান। পাবনার ঈশ্বরদীতে চাষিরা এবারও ভালো ফলন পাওয়ার আশায় বোরো ধান খেত পরিচর্যা করে যাচ্ছেন। জমিতে নিড়ানি, সার ও কীটনাশক দেয়াসহ খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কৃষি অফিস বলছে,আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শেষ পর্যন্ত ভালো ফলন পাওয়া যাবে।গত বছরের তুলনায় এবার উপজেলায় বোরো ধানের আবাদ বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

এবছর উপজেলার ৭ ইউনিয়ন ও পৌরসভার তালিকাভুক্ত পাঁচ হাজার কৃষকদের সার বিতরণ করা হয়েছে। ধান ও গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এবার বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া, ফসলের মাঠে কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, সময়মতো সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা কৃষক ও কৃষি বিভাগের। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় ২ হাজার ছয়শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আবহাওয়া অনুকূল থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব হবে। পৌর এলাকার কৃষক (বর্গা চাষী) সেরআলী জানান,গত বছর বোরোর ধানের দাম ছিল ১ হাজার ১০০-১ হাজার ২০০ টাকা মণ। এতে ধান বিক্রি করে কৃষক লাভবান হয়েছেন। চলতি বছর ধান কাটা ও মাড়াইয়ের পর দাম ভালো থাকায় কৃষকরা বোরো চাষে আরো আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বাজারে ধানের দাম না পেলে চাষীরা ধান চাষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।

এখন ধান চাষে খরচ বেশি। শ্রমিক, সার, বীজ, সেচ বাবদ খরচ বেড়েছে। আগে যেখানে ৩-৪ হাজার টাকায় বিঘাপ্রতি চাষ হতো এখন সেখানে খরচ প্রায় ৮-১০ হাজার টাকা। একই এলাকার কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এক বিঘার কিছু বেশি জমিতে হাইব্রিড জাতের বোরো চাষ করেছি। শুরু থেকে সার কীটনাশক প্রয়োগসহ সঠিক পরিচর্যা করছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়লে এবার বাম্পার ফলন হবে।’আবহাওয়া অনুকূল থাকার পাশাপাশি সঠিক সময়ে সেচ দিতে পারলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।

ধান পাকার পর তা নিরাপদে ঘরে তুলতে পারলে বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাবে। গত বছর ধানের দাম বেশি ছিল। এবারো দাম পাওয়া গেলে চাষীরা ধান চাষমুখী হবেন। ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মিতা সরকার জানান,এরই মধ্যে উপজেলায় বোরো ধান রোপণ শেষ হয়েছে। তবে কিছু এলাকায় দেরিতে রোপণ হয়। গত বছরের মতো এবারো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

এবারো বাম্পার ফলন হবে এমন লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ধানের বাম্পার ফলন হবে।এ বছর কৃষিবিভাগ উচ্চফলনশীল জাতের ব্রি ধান-৮৯,ব্রি-৯২,বিনা-২৫,হাইব্রিড ও তেজ গল্ড জাতের ধান চাষের পরামর্শ প্রদান করেছে কৃষি বিভাগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *