মোঃ ইসরাফিল হোসেন,রাজশাহী:
সিপিএসসি, র্যাব-৫, রাজশাহী কর্তৃক রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা হতে ৫১৫ গ্রাম হেরোইনসহ স্ত্রীসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
১। এরই ধারাবাহিকতায় সিপিএসসি, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি আভিযানিক দল ৩১ মার্চ ২০২৪ তারিখ সময় সকাল-০৯.৩০ ঘটিকায় রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন মশরইল (বাচ্চুর মোড়) নামক এলাকায় অপারেশন পরিচালনা করে হেরোইন-৫১৫ গ্রাম, মোবাইল-০১টি, সীমকার্ড-০১টি উদ্ধার করেছে এবং আসামী ১। মোঃ মুন্না (৩১), পিতা-মোঃ আজাদ আলী (শ্বশুর মোঃ বেলাল হোসেন (৪৫), পিতা-মৃতঃ মজিবুর রহমান, সাং-রাজশাহী চিড়িয়াখানা গেট, থানা-রাজপাড়া), ২। মোছাঃ রেশমি আক্তার (৩০), স্বামী-মোঃ মুন্না, পিতা-মোঃ বেলাল হোসেন, উভয় সাং বড়বনগ্রাম মশরইল, থানা-চন্দ্রিমা, রাজশাহী মহানগরদ্বয়‘কে গ্রেফতার করে।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশঃ- গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল জানতে পারে যে, রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন মশরইল বাচ্চুর মোড়স্থ জনৈকা মোছাঃ আলো (৪২), স্বামী-মোঃ আমির হোসেন এর মালিকানাধীন মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মুন্না (৩১), পিতা-মোঃ আজাদ আলী এর ভাড়াকৃত বসতবাড়ীতে অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইন নিজ দখলে মজুদ রেখে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
বিষয়টি জানামাত্রই উক্ত ঘটনাস্থল মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মুন্না (৩১), পিতা-মোঃ আজাদ আলী এর পশ্চিম গেট বিশিষ্ট টিনসেডের তৈরী ভাড়াকৃত বসতবাড়ীর ভিতরে তার দক্ষিন দূয়ারী বসতঘরের ভিতরে উপস্থিত হওয়া মাত্রই র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ০২ জন ব্যক্তি ঘরের ভিতর হতে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাবের টিম ০১ জন পুরুষ ও নারী র্যাব সদস্যের সহায়তায় ০১ জন মহিলাকে হাতে নাতে আটক করে।
পরবর্তীতে ধৃত ১নং আসামীর দেহ তল্লাশী করে তার পরিহিত প্যান্টের ডান পকেট হতে ০৩ প্যাকেট হেরোইন এবং ধৃত ২নং মহিলা আসামীর দেহ তল্লাশী করে তার পরিহিত পোশাকের নীচে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় ০৩ প্যাকেট হেরোইন উদ্ধার করে।
৩। ধৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী হওয়ার সুবাদে পরস্পর যোগসাজসে গোদাগাড়ী থানা এলাকার সীমান্তবর্তী অজ্ঞাত স্থান হতে সংগ্রহ করে নিজেদের দখল ও হেফাজতে রেখে কৌশলে রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় ও সরবারহ করে আসছে এবং উদ্ধারকৃত অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইন বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পরিবহণ করার জন্য নিজেদের দেহে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রেখে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল।
উপরোক্ত ঘটনায় রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।