বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বগমারায় অবশেষে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে সর্বহারা ক্যাডার আসাদুল ইসলাম। সে মরুগ্রামের মৃত লবির উদ্দীনের ছেলে। বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব আসাদুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় গোটার বিলে গেলে তাকে ধরে ফেলে র্যাব। এ নিয়ে সোহাগ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত পুলিশ এবং র্যাব মিলে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম ভাবে খুন হয় সোহাগ হোসেন (২৬)। নিহত সোহাগ যশোরের মনিরামপুর এলাকার শরিফুল ইসলাম মিস্ত্রীর ছেলে। গত (২ ফেব্রæয়ারি) শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের মরুগ্রাম ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীরা সোহাগ হোসেনকে খুন করে পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় প্রথমে সোহাগের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে গত (৩ ফেব্রæয়ারি) বাগমারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে ওই ঘটনায় ১৯ ফেব্রæয়ারি সোহাগের পিতা বাদী হয়ে রাজশাহীর আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলার ২ নম্বর আসামী ছিল আসাদুল ইসলাম। তবে এই হত্যাকান্ডের মূলহোতা সর্বহারা ক্যাডার আশাদুল ইসলাম দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভয় হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সর্বহারা নেতা আসাদুল ইসলাম পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি এম এল লাল পতাকার সক্রিয় নেতা ছিল। ২০১৯ ঐ এলাকার অনেক চরমপন্থি সদস্য আত্মসমর্পণ করলেও আসাদুল ইসলাম আত্মসমর্পণ করেনি।
এলাকাবাসীরা আরও জানায়, আব্দুল হামিদ মরু চেয়ারম্যান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন সর্বহারা নেতা আসাদুল ইসলাম। উক্ত মামলায় তার যাবৎজ্জীবন সাজা হয়। বর্তমানে সে ঐ মামলায় জামিনে আছে। এছাড়াও ডোখল পাড়া গ্রামের ওমর হত্যা মামলার সে অন্যতম আসামী।
এদিকে সর্বহারা নেতা আসাদুলের বিরুদ্ধে রয়েছে এলাকাবাসীর নানা অভিযোগ, মরুগ্রাম ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের বাড়িতে আগ্নি সংযোগ, নুরুল ইসলামের গরুর গোয়ালে আগুন দিয়ে গরু পুড়িয়ে মারাসহ একাধিক মামলার আসামি এই সর্বহারা নেতা আসাদুল ইসলাম।