বাগমারায় জোকা বিলে নতুন করে মাছের পোনা অবমুক্ত ও প্রতিবাদ সভা

বাগমারায় জোকা বিলে নতুন করে মাছের পোনা অবমুক্ত ও প্রতিবাদ সভা

রাজশাহী

মো: জাহাঙ্গীর আলম স্টাফ রিপোর্টার:

রাজশাহীর বাগমারায় নতুন করে জোকা বিলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় জোকা বিলে জমির মালিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। জোকা বিলে ধান চাষের জন্য ব্যবহার হচ্ছে ১২টি গভীর নলকূপ ও ৭টি শ্যালো মেশিন। সম্মিলিত ভাবে সেই সকল গভীর নলকূপ, শ্যালো মেশিন এবং সাপলাই পানির ব্যয়ভার বহণ করে আসছে জমির মালিকরা।

দীর্ঘ সময় ধরে লীজের মাধ্যমে জোকা বিলে মাছ চাষ করে আসছিল জমির মালিকরা। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নতুন করে লীজ না হওয়ায় গভীর নলকূপ, শ্যালো মেশিন ও সাপলাই পানির যাবতীয় খরচ বহন করছেন জমির মালিকরা। অর্থাৎ যাদের কাছে লীজ দেয়া ছিল তারাই বিনামূল্যে ধানের চাষ করে আসছে।

সেই সাথে বাড়ি বাড়ি খাবার পানি সরবরাহ করা হয়ে আসছে। ৫টি গ্রামে ৫টি সাপলাই পানির ট্যাংকির মাধ্যমে হাজার হাজার লোকজনকে পানি সুবিধা প্রদান করছে মৎস্য চাষ প্রকল্প। উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নে জোকার বিল মৎস্য চাষ প্রকল্পের নামে মাছ করে আসছে তারা। সেই সকল জমির মালিকরা আবারও নতুন করে মাছের পোনা অবমুক্ত করলেন। এদিকে সোমবার অন্য একটি পক্ষকে মাছ চাষের অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।

জানা গেছে, তারা কৃষকদের অর্থাৎ জমির মলিকদের বিনামূল্যে ধানচাষ সহ সাপলাই পানির কোন ব্যবস্থা করে দেবে না। সেই সাথে ৬ হাজার টাকা বিঘা হিসেবে জমির মালিকদের টাকা দেবে। গুটি কয়েক ব্যক্তির নামে জোকা বিল দিতে রাজি না বলে জমির মালিকরা প্রতিবাদ সভা করেছেন। সেই সাথে জমির মালিকরা ব্যতীত বাহির থেকে কেউ এসে মাছ চাষ করতে পারবেনা বলেও জানিয়েছেন তারা।

এদিকে বাসুদেবপাড়া ঈদগাঁ চত্বরে হাট-মাধনগর, কাষ্টনাংলা, গোড়সার এবং পানিয়া গ্রামের লোকজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি প্রতিবাদ সভা করেছেন। হাট মাধনগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, নরদাশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জমির মালিক আহসান হাবিব, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল রশিদ, জমির মালিক জোনাব আলী, মুরাদ হোসেন, ইচাহাক আলী, হেলাল উদ্দীন, সিদ্দিক, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, জোকা বিল নিয়ে কারো কোন খেলা চলবে না।

মাছ চাষ করতে হলে জমির মালিকরা মিলে করবে। তা না হলে কোন মাছ চাষ করা যাবে না। কেউ মাছ চাষ করতে চাইলে জমির মালিকদের সাথে নিয়ে করতে হবে। জমির মালিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ সেবা শেষে জোকা বিলে নতুন ভাবে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা করেন। জমির মালিকদের প্রতিবছর ৭ হাজার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছে জমির মালিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *