স্টাফ রিপোর্টারঃ
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত কবির হোসেন পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের সলইপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার উত্তর মল্লিকবাঘা গ্রামের আনছার ফকিরের মেয়ে ও সলইপাড়া গ্রামের মুনসুর রহমানের ছেলে কবির হোসেনের স্ত্রী।
নিহত গৃহবধূর বড় ভাই মুশিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ১০/১১ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তার বোনকে বিয়ে করেন কবির। তাদের সংসারে ১১ বছরের মাহী ও রকী নামে ৫ বছরের দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। বর্তমানে তার বোন অন্তঃসত্ত্বা ছিল। এ অবস্থায় ৭/৮ মাস আগে কবিরের পরকীয়ার ঘটনা ধরা পড়ে। এ নিয়ে প্রায়ই তার বোনের সঙ্গে কবিরের বাকবিতণ্ডা হতো। মঙ্গলবার বিকেলে রিপা (গৃহবধূ) মোবাইল ফোনে জানায় তাকে মারধর করছে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। সে আর সহ্য করতে পারছে না। পালিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসবে বলেও জানায় ভাইকে।
তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যায় বাড়িতে না আসায় তার (রিপার) মোবাইল ফোনে ফোন করলে প্রতিবেশী এক নারী রিসিভ করেন। তিনি জানান রিপাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, দ্রুত চলে আসেন। এরপর মা ও অন্য বোনদের নিয়ে হাসপাতালে গেলে রিপাকে মৃত দেখতে পাই।
বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রিতা হাওলাদার বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে রিপা নামের ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে আসার প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের সলইপাড়া এলাকায় অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত রিপার পরিবারের দাবি, পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় রিপাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনে।
তিনি আরও জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রিপার মরদেহ থানায় নেওয়া হয়েছে।ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।