নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজশাহীর বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারি চাকরি দেবার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মুলহোতা শহিদুল ইসলাম কে জেলহাজতে পেরণ করা হয়েছে। রাজশাহী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোড- ৩ গতকাল ২৯ মে বেলা ১২.০০ ঘটিকায় মোছাঃ রোকসানা ইয়াসমীনের দায়ের করা প্রতারনা মামলায় প্রতারক চক্রের মূলহোতা মোঃ শহীদুল ইসলাম কে জেল হাজতে পেরন করেছেন বিজ্ঞ আদালত।
রাজশাহীর পবা উপজেলার ঘোলহারিয়া গ্রামের আলহাজ্ব নাসির উদ্দীনের ছেলে। পুঠিয়া থানার শুত্রে জানা যায়, আসামী শহিদুল ইসলাম পুঠিয়া থানাধীন এলাকা থেকে সরকারি -বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণামূলকভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি প্রতারকচক্র তৈরি করেছিল।
যার সততা পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আসামী শহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে প্রতারণার লিপ্ত থাকার অভিযোগ এর সততার প্রমাণ আদালতে জাহির করেন। বাদিনীপক্ষের সিনিয়র আইনজীবী মো: তানভির আহমেদ জুলেট জানান, এই চক্রের সদস্যরা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ের বরাত দিয়ে সরকারি-বেসরকারি উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ ও দরিদ্র বেকার যুবক-যুবতীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়।
আদালতের জিজ্ঞাসাবদে গ্রেফতারকৃত আসামি তার অপরাধ স্বীকার করেছেন। তারা প্রতারণামূলকভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আসামি জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তারা জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ও নকল কাগজপত্র, ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি ও হেফাজতে রাখে।
পরে উচ্চ বেতনের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার অসহায় বেকার যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তাদের কাছ থেকে নগদ লাখ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দিতেন। এই প্রতারক চক্রের রয়েছে কিছু পেইড এজেন্ট যারা বেকার ও শিক্ষিত যুবকদের কাছে নিজেরা চাকরি পেয়ে উপকৃত হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের আস্থা অর্জন করত।
এই প্রতারক চক্র কোনো সরকারি-বেসরকারি কোন সংস্থার সদস্য না হয়েও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদীন ধরেই পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের সাধারণ ও নিরীহ লোকজনকে প্রলুব্ধ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল।
প্রতারিত বাদিনী রোকসানা ইয়াসমিন ১০ লক্ষ টাকার কন্টাকে ৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বাকি ৭ লক্ষ টাকা চাকুরী হওয়ার পর দিবেন, টাকা পরে দিবেন বলে প্রতারক মো: শহিদুল ইসলাম বাদিনীর কাছ থেকে স্ট্যাম্প এবং প্রাইম ব্যাংকের সিগনেচারকৃত ২ টি ফাঁকা চেক ও বাদিনীর পরীক্ষার সকল সনদপএ পর্যন্ত জিম্মি রাখে।
৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও চাকরিতে নিয়োগ তো দূরের কথা সে তাকে চাকুরীর পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশনসহ ইন্টারভিউ কার্ড পর্যন্ত দেয় নি। বাদিনী চাকুরী না পেয়ে প্রতারকদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে টাকা না দিয়ে মারধরসহ বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল বলে জানায় ভুক্তভোগী রোকসানা ইয়াসমিন, পরবর্তিতে তিনি পুঠিয়া থানায় প্রতারক মো: শহিদুল ইসলাম(৫৫) এর নামে একটি সাধারন ডায়েরী করেন।
এরপর ভোক্তাভোগী রোকসানা ইয়াসমিন মো: শহিদুল ইসলাম (৫৫) কাছ থেকে পরিত্রাণ না পেয়ে আসামীর বিরুদ্ধে মহামান্য সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট মামলা দায়ের করেন।
অনুসন্ধানে জানাযায়, এই চক্রের মূলহোতা মো: শহিদুল ইসলাম শুধু চাকুরী প্রতারণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, সে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে ‘উর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও আপলোড ও শেয়ার করে বিভিন্ন নারীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার কুপ্রস্তাব দিতো। এইভাবে ভুক্তভোগীদের ব্ল্যাকমেইল করতো। আসামী শহিদুল ইসলাম তার নিজের ভোটার আইডি কার্ডে তার বয়স ও বাড়ীর ঠিকানা পর্যন্ত ভুল দিয়েছিল,যাহা গনতান্ত্রিক আইনে সম্পূর্ণ অবৈধ।
বাদিনী পক্ষের আইনজীবী মো: তানভির আহমেদ জুলেট জানান, আমরা আসামীর সকল তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছি, মহামান্য সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোট- ৩ তাহা আমলে নিয়ে আসামী মো: শহিদুল ইসলাম(৫৫) কে জেল হাজতে পেরন করেন। আমরা আগামী আদালতে আসামি শহিদুল ইসলামের প্রতারক চক্রের সাথে আরো কে কে জড়িত আছে তার জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করবো।