স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেল থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় জেলার ফরিদুল ইসলাম রুবেলকে বদলি করা হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বদলি করা হয়। এ এস এম আনিসুল হক স্বাক্ষরিত পৃথক আরেকটি প্রজ্ঞাপনে রাজবাড়ী জেলা কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফকে বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার মোহাম্মদ ফরিদুর রহমান রুবেলকে খুলনা জেলা কারাগারের অনুকূলে সংযুক্ত কারা উপ-মহাপরিদর্শকের দপ্তর, রাজশাহী বিভাগে উপ-তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
বদলির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক কারণে বদলিকরত সংযুক্ত করা হলো।
এ ঘটনায় এর আগে ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামান ও প্রধান কারারক্ষীসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া তিন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়।
সাময়িক বরখাস্তরা হলেন- ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামান, সর্ব প্রধান কারারক্ষী ফরিদ উদ্দিন, প্রধান দুই কারারক্ষী দুলাল মিয়া ও আব্দুল মতিন এবং কারারক্ষী আরিফুল ইসলাম।
এছাড়া বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে প্রধান কারারক্ষী আমিনুল ইসলাম, সহকারী প্রধান কারারক্ষী সাইদুর রহমান ও কারারক্ষী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।
এদিকে ঘটনার পর বগুড়া কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঝুঁকি মনে করে, মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং জেএমবি সদস্যদের অন্য কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন কারাগারে তাদের সরানোর কাজ চলে। এদের মধ্যে প্রথম ধাপে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন কয়েদিসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ আসামিকে রাজশাহী বিভাগীয় কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরা হলেন- নাঈম মন্ডল, শিবলু ফকির ও আবদুর রাজ্জাক। এছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই কয়েদি রবিউল ইসলাম ও আবদুর রহিমকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল শেখ সুজাউর রহমান বগুড়া কারাগার চত্বর পরিদর্শন করে তদন্ত কাজ শুরু করেন।