নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি :
মাদক ও অসামাজিক কাজে জড়িত সাথী আক্তার ও তার স্বামী রতন হোসেন এর বিচার দাবিতে রাস্তায় নেমেছে নওগাঁ পৌরশহর এলাকার সচেতন বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ
সাথী এলাকায় করেন দেহব্যবসা, আর তার স্বামী করেন মাদক ব্যবসা।
তারা বসবাস করেন আরজি-নওগাঁ লাটাপাড়া এলাকায়। আর তাদের হাত থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। তাই বাধ্য হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন
অত্র এলাকার সচেতনরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ঘন্টাব্যাপী চলা এই মানববন্ধনে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ বিচারের আশায় উপস্থিত ছিলেন। তাদের হাতে ছিল মাদক ব্যবসা, দেহব্যবসার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ব্যানার ফেস্টুন।
এলাকাবাসীর পক্ষে সভাপতিত্ব করেন রিপন শেখ। সেখানে বক্তব্য রাখেন মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক তাসলিমা খাতুন। তারা বলেন, একটি সমাজ দুটি কারণে ধ্বংস হতে পারে। আর এই দুটি কারণ সাথী ও তার স্বামী রতনের মধ্যে আছে। তাই পুলিশ প্রশাসনসহ সকলের কাছে অনুরোধ স্বামী-স্ত্রী দুইজনের হাত থেকে আমাদের যুবসমাজ তথা এলাকাবাসীকে এখনই রক্ষা করা প্রয়োজন।
স্থানীয় শফিকুল ইসলাম টুকু, সজীব হোসেন, বেদারুল ইসলাম টিটু, মাসুদুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন বলেন, সাথী ও তার স্বামী যদি এলাকাতে থাকে, তাহলে এই এলাকার সুনাম নষ্ট হতে আর বেশি দিন লাগবেনা। একসময় এই এলাকা ভালো ছিল।
কিন্তু তারা স্বামী-স্ত্রী আসার পর শুরু হয় মাদক সেবীদের আনাগোনা। প্রকাশ্যে বিক্রি করতে থাকে মাদক। এছাড়া আমরা জানতে পারি তাদের বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ হয়। প্রতিনিয়ত রাতে ও দিনে ক্ষমতাশীল দলের ছেলেদের আনাগোনা।
তাদের এমন কর্মকান্ডে এলাকাবাসী কিছু বলতে গেলে মানহানির ভয় দেখায়। ফলে তাদের ভয়ে এলাকাবাসী কিছু বলতে পারেনা। আর তার এসব অবৈধ কর্মকান্ড করে চলাফেরা রাজকীয় স্টাইলে। তাদের নিজস্ব তেমন কোনো আয়ের উৎস নেই। অথচ থাকে এসি ঘরে। করেছে চোখ ধাঁধানো বাড়ি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাথীর মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে আবার
যোগাযোগের চেষ্টা করলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাদের বাড়িতে গিয়েও স্বামী- স্ত্রী কাউকেই পাওয়া যায়নি।
এসময় বক্তব্য রাখেন, জুঁই আক্তার, আকাশী বানু, মেহেরুন ময়না,দুলাল হোসেনসহ আরও অনেকে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান ( প্রশাসন ও অর্থ) বলেন, যেকোন অপরাধ ও অন্যায়মূলক কাজের সাথে পুলিশের কোনো আপোষ নেই।
তাহারা যদি মাদক বা অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করি। তাই খোঁজ নিচ্ছি এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।