পাভেল ইসলাম মিমুল স্টাফ রিপোর্টার:
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেছেন,আগস্ট মাস আসলেই বাঙ্গালি জাতির মধ্যে একদিকে শোকের মাতম ওঠে অপরদিকে ৭৫-র ১৫ আগস্ট যারা নিজেদেরকে বিজয়ী ভেবেছিল তাদের মধ্যে প্রতিশোধের জ্বালা জেগে ওঠে।
সেই শক্তি এখন দেশ বিরোধী ঘোর ষড়যন্ত্রে মেতেছে। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তা কখনোই পূরন হবে না।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহীর পবা উপজেলার খড়খড়ি বাইপাস মোড়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আগস্ট মাস আসলেই বাঙ্গালি জাতির মধ্যে একদিকে শোকের মাতম ওঠে অপরদিকে ৭৫-র ১৫ আগস্ট যারা নিজেদেরকে বিজয়ী ভেবেছিল তাদের মধ্যে প্রতিশোধের জ্বালা জেগে ওঠে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যার দায়ে ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানি প্রেতাত্বাদের বাংলাদেশের মাটিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে আবারও বাংলাদেশের মাটিতে এই খুনীদের বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিল।
বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মুক্তিযোদ্ধা যা চেয়েছিল ৪৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্ট ক্রিমিনাল দল হিসেবে জামায়াতকে ঘোষণা করেছে। সেই জামায়াত জ্বালাও -পোড়াওয়ের মধ্যে নিজেকে আরেকবার প্রমাণ করেছে।
ওরা টেলিভিশনে আগুন দিয়েছে,বাংলাদেশের গর্ব মেট্রোরেল জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ওরা বাংলাদেশের পথে প্রান্তরে ১৭০ জন মানুষকে হত্যা করেছে। সেই হত্যার দায় তাদেরকেই নিতে হবে। ৭১ কে যারা মেনে নিতে পারে নি সেই জামায়াত-শিবির আবার নিষিদ্ধ হয়েছে।
আসাদুজ্জামান বলেন জামায়াত-বিএনপির মাথা আবার নিচে নেমেছে। ওরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে বাপের সম্পদ মনে করার চেষ্টা করে। এই আগস্ট মাসে শপথ নিয়ে পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই,আগামীতে যদি এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরা তাণ্ডব সৃষ্টির চেষ্টা করে এই পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়েই ওদেরকে প্রতিহত করতে হবে।
লড়াই যদি হয় রাজনৈতিক লড়াই হবে। সেই লড়াইয়ের বলি তো আমাদের টেলিভিশন হবে না,কোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদ হবে না,শত শত সরকারি গাড়ি পুড়ে যাবে না,রাস্তাঘাট অচল হবে না। ওরা কাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে? ওরা কি ওরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই চায় নাকি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে?
এমপি আসাদ আরো বলেন,শেখ হাসিনার অপরাধ কী? ওরা চায় না বাংলাদেশের মানুষ শিক্ষায় শিক্ষিত হোক,ওরা চায় না মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারের তরফ থেকে ভাতা দেওয়া হোক,ওরা চায় না চার লেন ছয় লেন রাস্তা তৈরি হোক,ওরা চায় না কৃষকের কাছে প্রণোদনা যাক,ওরা চায় না বাংলাদেশের বিদ্যালয়গুলো এক তলা থেকে তিন তলা হোক,ওরা চায় না আধুনিক শিক্ষিত জাতি হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে বলুক বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছে,শেখ হাসিনার হাত ধরে অর্থনীতি দাঁড়িয়েছে।
আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নারকীয় দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে অবিচল আস্থা নিয়ে শেখ হাসিনার হাত ধরেই পথ চলতে চাই। সেই পথ চলার পথে যারা ব্যারিকেড তৈরি করতে চান তাদের হুশিয়ার করতে চাই,আমরা জনগণের শক্তিতে বলীয়ান। আমরা জনগণের কথা বলি।
আমরা রাতের আধাঁরে কোনো ষড়যন্ত্র বা ক্যু করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসি না। আমরা অধিকার আদায়ে জনগণের পাশে থাকি। লড়াই সংগ্রাম করে জনগণের অধিকার আদায়ে করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্টিত। অতএব ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে নামানো যাবে না।
পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নবীবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু অনীল কুমার সরকার,পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ডাবলু,
নওহাটা পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান হাফিজ,জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলফোর রহমান,জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজম সেন্টু,পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ আলী মোরশেদ, সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল বারী ভুলু,পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফাহিমা বেগম,পবা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদ ইসলাম রাজু।