মো:ইসরাফিল হোসেন, রাজশাহী :
রাজশাহীর বাগমারায় প্রভাবশালী দখলদার সন্ত্রাসীদের কবল থেকে বিলসূতি বিল উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে মৎস্যজীবী ও জমির মালিকরা মানববন্ধন করেছে। দীর্ঘ দিন ধরে স্থানীয় মৎস্যজীবী ওই বিলে মৎস্য আহারণ করে জীবন যাপন করে।
সম্প্রতি বিলটি স্বার্থন্বেশী মহল ইজারা নেয়ার নামে পুরা বিলটি দখল নিয়ে বিলের ধারের মৎস্যজীবিদের মাছ ধরতে দিচ্ছে না। মাছ ধরতে গেলে যুগ যুগ ধরে মাছ ধরে যারা জীবন অতিবাহিত করে তাদেরকে হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।
এ থেকে বাঁচতে বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিলসূতি বিলের ধারের শত শত কার্ডধারী মৎস্যজীবী ও জমির মালিকরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে মানববন্ধনে মিলিত হয়।
জানা যায়, উপজেলার দ্বীপপুর ও বড়বিহানালী ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বিলসূতির বিশাল বিল। বিলে প্রায় ৫ শত বিঘা জমি খাশ থাকলেও বাঁিক জমি কৃষকদের মালিকানা রয়েছে। খাশ জমি থাকায় ইজারা নিয়ে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা প্রতিবারে বিলে মাছের পোনা দেয়।
কিন্তু এবারে দ্বীপপুর আদর্শ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে স্থানীয় মাষ্টার সেলিম রেজা, মাষ্টার ফজলুর রহমান, মাস্টার নজরুল ইসলাম,রেজাউল করিম, কামাল হোসেনসহ স্থানীয় প্রভাবশালী ও চাকুরীজীবিরা লিজ নেয়ার নামে পুরা বিল দখল নিয়েছে।
সরকারী কার্ডধারী মৎস্যজীবী আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ আলী প্রামানিক, বাচ্চু প্রামানিক, মাসুদ রানাসহ অনেকে জানান, যুগ যুগ ধরে বিলে মাছ ধরে এলাকার বিলের ধারের জেলে পরিবার জীবিকা পালন করছেন। প্রভাবশালীরা বিল লিজ নেয়ার নামে বিলটিতে মাছ ধরতে দিচ্ছে না। এতে মাছ শিকার বন্ধ হওয়ায় জেলেরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন।
দ্বীপপুর গ্রামের বিলের জমির মালিক ইমরান হোসেন, জাহেদুর রহমান, লুৎফর রহমান, সাগর আলী মৃধা, ফজের উদ্দিন, সামসুর রহমান, ফেরদৌস শাহ, সৈয়দ আলীসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান,বিলের ৫শত বিঘার মত জমি খাশ থাকলেও প্রভাবশালী ও স্বার্থন্বেশী মহল বিশাল বিলটি দখলদারি করছে।
বিলটি কৌশল করে লিজ নেয়ার বিষয় অভিযোগ করেছেন তারা। অবিলম্বে বিলটি উন্মুক্ত করে জেলেদের মাছ শিকারসহ এলাকার জনসাধারনকে পানি ব্যবহারের সুযোগ দিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে বিলটির বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে মৎস্যজীবীরা বিভিন্ন দপ্তরের আবেদন করায় তাদেরকে মামলা দিয়ে শায়েস্তা করার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রভাবশালী সেলিম রেজা ও তার সহযোগীদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা ব্যবহৃত মুঠোফোনটি রিসিভ করেননি।