নাটোর প্রতিনিধি :
গোপনে পকেট কমিটি গঠন ও কর্মচারি নিয়োগে বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে নাটোরের বাগাতিপাড়ার পাঁকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মুনসুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তার অফিস কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে অভিভাবক ও চাকরি প্রত্যাশীরা। তবে গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয়দের কথায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সূত্রে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে মো. মুনসুর রহমান অভিভাবকদের কিছু না জানিয়ে নিজের ইচ্ছা মতো ঘনিষ্টজনদের নিয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নামে একের পর এক নিজের পকেট কমিটি তৈরি করে ইচ্ছে মতো স্কুলের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।
অভিভাবকদের মধ্যে রবিউল ইসলামসহ অন্তত আরও ২৫জন অভিভাবক জানান, এলাকার অনেকে যোগ্য হওয়ার পরেও প্রধান শিক্ষকের প্রভাবের কারণে এসকল পদে আসতে পারে না। ফলে স্কুলের উন্নয়ন হয় না।
অন্যদিকে চাকরি প্রত্যাশী শুভ ইসলাম জানান, স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর আমিসহ অনেকে ব্যাংক ড্রাফটসহ প্রধান শিক্ষক বরাবর আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের আবেদন এর রিসিভ কপিও দেন নাই।
পরবর্তীতে তিনি টাকার বিনিময়ে তার পরিবার ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পরিবারের সদস্যদের ওইসকল পদে ইচ্ছা মতো নিয়োগ দিয়েছেন। এ নিয়ে কথা বলায় তার নামে মিথ্যা মামলাও করেন ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
তৎকালীন এমপির ইচ্ছায় এসব করতে বাধ্য হয়েছেন বলে স্বীকার করে পাঁকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মুনসুর রহমান বলেন, তৎকালীন এমপি (শহিদুল ইসলাম বকুল) এর নির্দেশনা অনুযায়ী কমিটি গঠনসহ সকল কার্যক্রম পরিচালনা হয়েছে। তিনি যা বলেছেন সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে মাত্র।
এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুল বলেন, একজন প্রধান শিক্ষককে এভাবে অবরুদ্ধ করে রাখা ঠিক হয়নি। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে লিখিত ভাবে করতে হবে।