বাগমারায় আওয়ামী লীগের গ্রুপিংয়ের বলি দোকানপাট পুকুরের মাছ

রাজশাহী

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :

রাজশাহীর বাগমারায় আওয়ামী লীগের গ্রুপিংয়ের বলি জমিজমা, দোকানপাট, পুকুরের মাছ। বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগ মূলত দু’টি গ্রুপে বিভক্ত।

একটি গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক এম. পি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। অপর গ্রুপে সাবেক এম.পি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।

৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি ঘোলাটে আকার ধারণ করে। এক গ্রুপ অপর গ্রুপের লোকজনের উপর হামলা,লুটপাট, মারধর, পুকুরে বিষ প্রয়োগ, জমি দখল করতে দ্বিধা করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে ।

বেশী অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। উল্লেখ্য সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, সাবেক এম আবুল কালামের অনুসারী।

ডোগলপাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের পুত্র ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান, সাবেক এমপি এনামুল হকের সমর্থক। গ্রুপিংয়ের কারণে তাদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল ।

যোগীপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামালের জমি দখল, পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনায় অভিযোগের তীর ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের দিকে।

হাবিবুর রহমান সাড়ে ৬ শতক জমি দখল এবং পুকুরে বিষ প্রয়োগে নেতৃত্ব দেয় বলে সূত্র জানায়। পুকুরে বিষ প্রয়োগে প্রায় ৬/৭লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান, পুকুরের পাহাদার তুহিন এবং গ্রামবাসী দুলু।

অপর দিকে ৬ আগষ্ট সন্ধায় ডোগলপাড়ায় হাবিবুর রহমান, মোফাজ্জল স্বপন, রেজাউল, বাবলুর নেতৃত্বে দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

যোগীপাড়া ইউনিয়নের ডোগলপাড়া গ্রামের চা ও মুদি দোকানী ইকবাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, হাবিবুর রহমান মেম্বারের নেতৃত্বে আমার দোকানে ভাঙচুর লোটপাট চালায়। আমার চাযের কেটলি, ক্যারাম বোর্ড পানিতে ফেলে দেয়। এতে আমার প্রায় ১ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সরজমিন বাগমারা প্রেসক্লাবের সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দোকান ঘরের কাটা টিন, ডোবায় চায়ের কেটলি, ক্যারাম বোর্ড, পুকুরে রেণুপোনা সহ বিভিন্ন প্রজাতির মরা মাছ ভাসতে দেখা গেছে।
মুঠোফোনে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান কাছে ঘটনার আদ্যপ্রান্ত জানতে চাইলে তিনি বলেন,ক্ষতিগ্রস্থ দোকানে পূর্বে মাদকের আখড়া চলতো। আমাদের গ্রুপিংয়ের কারণে ছেলেরা একাজ করেছে। ওই সময় আমি সেখানে ছিলাম না। একটু দূরে ছিলাম। জমিজমা দখলের বিষয়টি সত্য নয়। তবে আমার ছোট ভায়ের মাথায় বুদ্ধি একটু কম। দুই বাড়ীর মাঝখানে গলিতে কিছু গাছের গুড়ি ফেলে রেখেছে।

পুকুরে বিষ প্রয়োগে বিষয়ে বলেন, ওরা নিজেরা বিষ দিয়ে অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সরকারি মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি। বিধায় তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, পুলিশি কার্যক্রম শুরু হলে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *