তাহেরপুর বৃহতম বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী

তাহেরপুর বৃহতম বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী

তাহেরপুর

মো: জাহাঙ্গীর আলম:

রাজশাহী জেলার বৃহতম বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভা হাট, এই হাটে-বাজারে কাঁচা বাজারে সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী চলছে। সবজির প্রয়োজনীয় চাহিদা অনুপাতে অপ্রতুল। কিন্তু বাজারের বর্তমান চিত্র ভিন্ন। এই সময়ে সবজির যে দাম থাকার কথা, তার চেয়ে তুলনামূলক বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

এছাড়া নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকা এবং প্রতিটি দোকানে দাম নির্ধারণ করে তালিকা না দেওয়ায় ইচ্ছামত দাম হাকিয়ে নিচ্ছে এখানকার খুচরা দোকানীরা। ফলে প্রায় সব সবজিই মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তবে এবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আদা. পেঁয়াজ ও রসুনও। তাই স্বস্তিতে নেই নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর মানুষজন।

এদিকে তাহেরপুর হাটে বাগমারা, দুর্গাপুর ও পুঠিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সবজির আমদানি হয়। তবে সরবরাহ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বাড়ছে সবজির। চলতি এক সপ্তাহ না যেতে সবজির দাম কেজিতে বেড়ে চলেছে। এবং এ রকম চলতে থাকলে কাঁচা বাজারের দাম বাড়তেই থাকবে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।

তাহেরপুর হাটের খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, এ সপ্তাহের ব্যবধানে সবজিসহ বাকি পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কাচা মরিচ ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। একাধিক ক্রেতারা জানান সব ধরনের তরকারী রান্নাতে মরিজ পিয়াজের প্রয়োজন। যেখানে মরিজ পিয়াজ ছাড়া সাদ হয়না।

এখন বাধ্য হয়ে তরকারীতে মরিজ দেয়া হচ্ছে কিন্তু পরিমাণে অনেক কম। শুধু মরিচের ঝাজতো আছেই। সেই সাথে সবজি বাজারে উঠলেও দাম নাগালের বাহিরে। নিম্ম আয়ের, লোকজন জানান, তরি তরকারী কিনতে এসে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। এত দাম হলে কিভাবে চলা যায়।

বেশি দাম হবার কারনে সব কিছু অর্ধেক করে কেনা হচ্ছে। হাটে দেশী পিয়াজ প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচু ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, শোসা ৭০ টাকা, আদা ২৪০ টাকা, কাচা মরিচ ১৬০’ থেকে ১৮০ টাকা কেজি,বেগুন কেজিতে ৮০ টাকা থেকে ৭০টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও পুরাতন আলু কেজিতে ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এসব নিত্যপণ্য সবজির বাজার কেউ নিয়ন্ত্রন করেন না।

কিন্তু এরা ইচ্ছেমত দাম নির্ধারণ করেন। কাজারে আসা একাধিক ক্রেতা জানান সরকারী মুল্যের চেয়ে খাজনা আদায় হয় কয়েকগুন বেশি। আর এসবের জের টেনে সাধারন নিম্ম আয়ের মানুষের পকেট কাটা হচ্ছে বেপরোয়াভাবে। উপজেলার প্রশাসনের কোন ধরনের বাজার মনিটরিং না থাকার কারনে ইচ্ছেমত দাম নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ক্রেতারা বলছে খুচরা ব্যবসায়ীরা সবজি বিক্রিতে অতি মুনাফা করছেন। মোকামে দাম কম হলেও তারা দাম বেশি নিচ্ছেন। প্রশাসন বাজার পর্যবেক্ষণ করে অতি মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে সবজির দাম কিছুটা আয়ত্বের মধ্যে আসবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তবে নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকা এবং প্রতিটি দোকানে দাম নির্ধারণ করে তালিকা দেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *