বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেক্সঃ
এ আই মানুষের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। সব কাজেই এ আই আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। সে হোক রান্নার রেসিপি কিংবা চাকরির সিভি সবই লিখে দিতে পারবে এ আই। এ আই ইন্টেলিজেন্সি রোবট দিয়ে এখন কত কিছুই না করা হচ্ছে। নিউজ প্রেজেন্টার থেকে শুরু করে স্কুলে পড়ানো, অফিসের কাজ সবই।
এ আই দিয়ে চমৎকার ছবি ভিডিও তৈরি করা যায়। যা দেখে বিভ্রান্ত হতে বাধ্য হবেন। কারণ এতোটাই বাস্তব লাগে সেগুলো। হোক কোনো ফটোগ্রাফি কিংবা হাতে আঁকা ছবি সবই করে দিতে পারে এ আই। তবে সাধারণ চোখে দেখলে যেটিকে নিখুঁত বা বাস্তব মনে হবে একটু খেয়াল করলেই ছবির খুঁত বের করতে পারবেন।
কিছু বিষয়ে একটু মনোযোগ দিলেই এ আই দিয়ে তৈরি নকল ছবি চিনতে পারবেন। এতে বিভ্রান্ত হবেন না। জেনে নিন কোন বিষয়গুলোতে একটু বাড়তি নজর দেবেন-
>> প্রথমেই ছবিটির দিকে খেয়াল করুন। সাবজেক্টের দিকে নজর দিন। সেটি যদি কোনো মানুষ হয় তাহলে দেখবেন চেহারা খুব শার্প, নাক, থুতনি, কপালের দিকটা একেবারে নিখুঁত, কোনো ভাঁজ নেই। দেখেই বুঝতে পারবেন যে এটি আসল ছবি না। এ আই দিয়ে তৈরি মানুষের ছবি কিছুটা কার্টুনের মতো।
>> ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড খেয়াল করুন। সবকিছু কেমন সাজানো মনে হবে আপনার কাছে। যা বুঝিয়ে দেয় এতো সাজানো গোজানো কখনোই আসল ছবিতে থাকবে না।
>> মানুষের কোনো ছবি হলে তা এআইয়ের তৈরি কি না বুঝবেন তার হাত-পায়ের আঙুল দেখে। খেয়াল করবেন আঙুল হয় ছয়টা বা চারটা আছে।
>> ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড খেয়াল করুন। সবকিছু কেমন সাজানো মনে হবে আপনার কাছে। যা বুঝিয়ে দেয় এতো সাজানো গোজানো কখনোই আসল ছবিতে থাকবে না।
>> মানুষের কোনো ছবি হলে তা এআইয়ের তৈরি কি না বুঝবেন তার হাত-পায়ের আঙুল দেখে। খেয়াল করবেন আঙুল হয় ছয়টা বা চারটা আছে।
>> সত্যিকারের ছবিতে ক্যামেরা মডেল, লেন্সের ধরন, এক্সপোজার সেটিংস এবং জিপিএস স্থানাঙ্কসহ বিস্তারিত মেটাডেটা থাকে। অপরদিকে এআই ব্যবহার করে ডিজাইনকৃত চিত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই তথ্যাবলি পাবেন না।
>> এআইয়ের নিজস্ব অঙ্কন শৈলী, যা স্বাভাবিকভাবেই ফটোগ্রাফি থেকে আলাদা। এআই মূলত স্বতন্ত্রভাবে ছবির নানা ধরনের সূচকের মাত্রা নির্ধারণ করে। এই নির্ধারণীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কতগুলো নির্দেশনার আঙ্গিকে। ফলে সংখ্যাগত মানগুলো একদম সুনির্দিষ্ট হলেও সামগ্রিকভাবে ছবিটিতে বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সামঞ্জস্যতা থাকে না।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান