হাকিকুল ইসলাম খোকন,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধি:
এক নারী কলামিস্টকে যৌন হেনস্তার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করেছেন নিউইয়র্কের একটি আদালত। ই জিন ক্যারোল নামে ওই নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে ধর্ষণ প্রমাণিত না হলেও তাকে যৌন হেনস্তা ও মানহানির প্রমাণ মিলেছে।
ক্যারলের অভিযোগ, ১৯৯৬ সালে তাকে ধর্ষণ করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি প্রথম যখন একথা লিখেছিলেন, তখন ট্রাম্প তার মানহানি করেন। ৯ মে নিউইয়র্ক আদালতের জুরি তার সেই মানহানির অভিযোগ মেনে নিয়েছে। এর পরেই ট্রাম্পকে ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। এদিন আদালত কক্ষে ট্রাম্পের আইনজীবী থাকলেও সাবেক প্রেসিডেন্ট নিজে উপস্থিত ছিলেন না। ক্যারল দাবি করেছেন, ১৯৯৬ সালে এক বান্ধবীর উপহার কেনার জন্য ট্রাম্প তাকে ডেকেছিলেন। তারা ম্যানহাটনের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে যান। সেখানে কথা বলতে বলতে ক্যারলকে নিয়ে হঠাৎ ট্রায়ালরুমে ঢুকে পড়েন ট্রাম্প এবং সেখানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।১৯৯০ এর দশকে ম্যানহাটানে ই জীন ক্যারল নামে এলি ম্যাগাজিনের একজন কলামিস্টের ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মিজ ক্যারল অভিযোগ করেছিলেন যে মি. ট্রাম্প তাকে একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ড্রেসিং রুমের ভেতর ধর্ষণ করেছিলেন, কিন্তু তা আদালতে প্রমাণ হয়নি। তবে যৌন নির্যাতন ও মানহানির মামলায় মি. ট্রাম্পকে ৫০ লক্ষ ডলার ক্ষতিপূরণ দেবার আদেশ দিয়েছেন আদালত।ক্যারলের দাবি, ১৯৯৬ সালে এক বান্ধবীর উপহার কেনার জন্য ট্রাম্প ক্যারলকে ডেকেছিলেন। তারা ম্যানহাটনের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে যান। সেখানে কথা বলতে বলতে ক্যারলকে নিয়ে ট্রাম্প ট্রায়ালরুমে ঢুকে পড়েন এবং সেখানেই তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
ক্যারল জানান, কোনোমতে ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েন এবং পালিয়ে যান। পরে এই পুরো ঘটনার কথাই তিনি লিখেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প প্রকাশ্যে তা মিথ্যা বলে দাবি করেন। ২০২২ সালে নিজের তৈরি সোশ্যাল নেটওয়ার্কেও ট্রাম্প একই কথা লিখেছেন।
৭৯ বছর বয়সী ক্যারলের আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালতের সিদ্ধান্তে তারা খুশি। তবে ক্যারল রায়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। অন্যদিকে ট্রাম্পও এখনো বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে তার আইনজীবী জানিয়েছেন, তাদের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। ট্রাম্প নির্দোষ।
ফৌজদারি মামলা
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও একটি ফৌজদারি মামলা চলছে। তিনিই একমাত্র সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে। অভিযোগ, এক অভিনেত্রীকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য তিনি কয়েক মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন। ওই অভিনেত্রীও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন। নির্বাচনের আগে ভুক্তভোগীর মুখ বন্ধ করতে ওই অর্থ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বড়সড় ধাক্কা খেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।