নাঈম খান রাব্বি (স্টাফ রিপোর্টার)
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মেয়ের বাড়ির জমি সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসা করতে গিয়ে হাসান মিয়া ওরফে হাসু (৬৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের সরিষাদাইড় গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসান মিয়া ওরফে হাসু মির্জাপুর পৌর এলাকার পুষ্টকামুরী গ্রামের মোকছেদ মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে হাসান মিয়ার মেয়ে রুবিনার সঙ্গে ভাওড়া ইউনিয়নের সরিষাদাইড় গ্রামের মফেজ উদ্দিনের ছেলে সৌদি প্রবাসী জুয়েল মিয়ার বিয়ে হয়। কয়েকদিনে আগে বাড়ির সীমানা নিয়ে দেবর সজল, ননদ নিলুফা, শাশুড়ি লাইলি বেগম ও দেবরের বউ ঝুমার সঙ্গে ঝগড়া হয় রুবিনার।
এক পর্যায়ে গত সোমবার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে রুবিনা বাবার বাড়ি চলে আসেন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য শুক্রবার সকালে হাসান মিয়া মেয়ে রুবিনা, ছেলে রাকিব ও মেয়ে জামাই মান্নানকে নিয়ে রুবিনার শ্বশুর বাড়ি যান। সেখানে সীমানা বিরোধ নিয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রুবিনার দেবর সজলসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন হাসান মিয়াকে এলোপাথারি কিলঘুষি মারে। এতে হাসান মিয়া অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক হাসান মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত হাসান মিয়ার ছেলে রাকিব জানান, আমরা বোনের বাড়িতে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করতেই বোনের দেবর সজলসহ বাড়ির লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। তারা আমার বাবাকে এলোপাথারি কিলঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায় বাবা মাটিতে পড়ে যায়। কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।