সুনামগঞ্জ থেকে,আমির হোসেন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ সব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সাংবাদিক ও সচেতন নাগরিকবৃন্দের উদ্যোগে পৌর শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি পালিত হয়। হীদ মিনারে একই সময়ে প্রথম আলো বন্ধুসভাও মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনীতিক, সাংস্কৃতিকর্মী, নারী আন্দোলনের নেত্রী, সমাজকর্মী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার লোকজন অংশ নেন।
জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সমাজকর্মী রমেন্দ্র কুমার দে, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তৈয়বুর রহমান বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল হক, অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, জেলা গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি রুহুল তুহিন, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের পঙ্কজ কান্তি দে, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি আইনজীবী এনাম আহমেদ, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম সাঈদ, থিয়েটার সুনামগঞ্জের সভাপতি ও সাংবাদিক দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সংগঠন সুনামগঞ্জ প্রসেনিয়ামের পরিচালক দেবাশীষ তালুকদার শুভ্র, ছাত্রনেতা নাসিম চৌধুরী।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা বলেন,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কালো আইন আখ্যায়িত করে বক্তারা বলেন, মানুষ এই কালো আইন চায় না। তারপরও সরকার নিজেদের স্বার্থে, বিরোধী মতকে দমন করার জন্য এটি রাখতে মরিয়া। এই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে। বিশেষ করে এই আইন দিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করার অপচর্চা শুরু হয়েছে। এতে সরকারই দেশে-বিদেশে সমালোচিত হচ্ছে। বক্তারা আরও বলেন, সংবাদমাধ্যম সরকারে প্রতিপক্ষ নয়, বরং বন্ধু। তাঁরা গঠনমূলক সমালোচনা করবে, সংকটের কথা তুলে ধরবে।
সরকার সেগুলো শুধরে নেবে, এটাই হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা দেখছি, দেশে তার উল্টোটা ঘটছে। এটা কারো জন্যই মঙ্গলজনক নয়। এত এত ঘটনা ঘটছে, মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে, তবুও সরকার কেন এই চরম বিতর্কিত আইনটি বাতিল করছে না, এটাই বিশ্ময়।
কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে দৈনিক সুনামকণ্ঠের সম্পাদক বিজন সেন রায়, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল নোমান, সুনামগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস, আইনজীবী-সাংবাদিক এ কে এম মহিম ও এ আর জুয়েল, আইনজীবী মতিয়া বেগম, জেলা মহিলা পরিষদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিনা পাল, সাংবাদিক বিন্দু তালুকদার, রোরহান উদ্দিন, সমাজকর্মী সালেহীন চৌধুরী ও ওবায়দুল হক মিলন, জেলা খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক মো. রাজু আহমদ, সাংবাদিক আকরাম উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম, আসাদ মনি, মেহেদী হাসান, এ কে মিলন আহমদ, কে এম শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হানিফ, উন্নয়কর্মী আরিফুর রহমান, সুনামগঞ্জ বন্ধুসভার সভাপতি শাহজাহান সিদ্দিকী, বন্ধুসভার শফিকুল ইসলাম, রুবেল পালম জাকিরুল ইসলাম মান্না, শেখ মহুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।