সুনামগঞ্জ থেকে,আমির হোসেন: হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলা, এজেলায় দূর্নীতি: হাওর বাঁধ নির্মাণ কাজে সফলতা দেখাতে দূর্নীতি ও লুটপাটে জড়িত হয়ে এবার দূর্নীতির টাকার ভাগ নিচ্ছেন সুনামগঞ্জ জেলায় কর্মরত দেশের বড় বড় সুনামধন্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কিছু কতিত সাংবাদিক ও ক্যামেরা ম্যানরা।
প্রায় ৩০/৩৫ জন সাংবাদিক পানি উন্নয়ণ বোর্ড এর দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সাথে হাত মিলিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করার সুকৌশল হিসেবে এবার সুনামগঞ্জের কিছু অসাধু সাংবাদিকদের ১টি কালো তালিকা করে বাঁধের কাজে সাফল্য দেখাতে জনপ্রতি তাদের ১০ হাজার টাকা করে ঘুষ (সম্মানি) রাতের আঁধারে বিতরণ করেছেন, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী -১ মামুন হাওলাদার ও তার সহযোগী দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা।
এমনটি তথ্যের সন্ধান মিলিছে অবশেষে সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকের মাধ্যমে। জানা যায় গতকাল শনিবার সন্ধা থেকে শুরু করে রাত ১১ টা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলা কার্যালয়ে দুইজন, চারজন,গ্রুপ আকারে সাংবাদিক নামধারী দালালদের মাধ্যমে মোবাইলে ফোন করে ডেকে নিয়ে দশ হাজার করে ৩০/৩৫ জন কতিত সাংবাদিককে লুকিয়ে লুকিয়ে টাকা বিতরণ করা হয়।
যা শনিবার সন্ধায় থেকে রাত ১১ঘটিকা পর্যন্ত পাউবোর কর্মকর্তার অফিসে সিসি ক্যামেরার অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসবে বলে দাবী জানিয়েছেন অনেক মুলধারার সাংবাদিকরা বিষয়টি কিছু স্থানীয় ও দৈনিক জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকদের নজরে আসলে। বিষয়টি সাংবাদিক সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। সাথে সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মামুন হাওলাদার নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা ডাকা দেন।
কয়েকজন সাংবাদিক তাকে বক্তব্য নেওয়ার জন্য অনেক খোঁজা খোঁজির পর প্রায় ২/৩ ঘন্টা অপেক্ষা করেও কর্মকর্তার দেখা মেলেনি এবং মোবাইল ফোন বন্ধ করে সাংবাদিকদের সাথে লুকোচুরি শুরু করেন পাউবো কর্মকর্তা মামুন হাওলাদার। অনুসন্ধানে জানা যায় এক সাংবাদিক নেতাকে দিয়ে ৩০/৩৫ জনের একটি কাল তালিকা তৈরি করে তাদের মাঝে টাকা বিতরণ করা হয়।
যা সাংবাদিক সমাজকে কুলশিত মর্মাহত করেছে। এই বিষয়টি মূলধারার সাংবাদিকদের মনে আঘাত লেগেছে যা মেনে নিতে পারছেন না সাংবাদিক সমাজের অনেকে। হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিয়ে সফলতা দেখাতে সুনামগঞ্জে টেলিভিশনে কর্মরত প্রতি সাংবাদিকদের ঘুষ(সম্মানি) হিসেবে ১০ হাজার করে টাকা দিলো পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো) এই প্রশ্ন মুহূর্তের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকের মাধ্যমে জানাজানি হয়।
অনেক সাংবাদিকরা ফেইসবুকের মাধ্যমে লিখেছেন। সুনামগঞ্জ দৈনিক সুনামকন্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোটার মুশাহিত রাহাত বলেন সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে বাঁধের দূর্নীতি ঢাকতে ১০হাজার করে চাঁদা দিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।
এঘটনায় তিনি বক্তব্য নিতে প্রায়২ঘন্টা অপেক্ষা করেও খোঁজে পাননি । সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ঐ কর্মকর্তা মোবাইল বন্ধ করে গা ডাকা দেন। দৈনিক জালালা বাদ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জানান মামুন হাওলাদার বাঁধ থেকে কত টাকা লুঠে নিয়েছেন তার অনুসন্ধান চলুক। এদিকে একাত্তর টিভি ও কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি শামস শামীম তিনি ঐ কর্মকর্তাকে সাফ জানিয়ে দেন তিনি কোন ধরনের উৎকোচ বা সম্মানি গ্রহন করবেন না।
ঐ কর্মকর্তা তাকে অফার দিয়েছেন কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। জানা যায় কিছু টেলিভিশন ও পত্রিকার কতিত সাংবাদিক নেতারাও গিয়ে টাকা এনেছেন ঐ কর্মকর্তার সাথে হাত মিলিয়ে। আর এসব সাংবাদিকদের টাকা দেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার কেন? এমন প্রশ্ন এখন সাংবাদিক সমাজ সহ-সুশীল সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে।
এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক বণিক বার্তার জেলা প্রতিনিধি আল আমিন জানান সরজমিনে সন্ধায় পানি উন্নয়ন বোর্ডে গিয়ে কয়েকজন সাংবাদিককে টাকা নিয়ে আসতে দেখা যায়। নাম গোপন রাখার শর্তে এক সাংবাদিক বলেন সাংবাদিকদের কয়েকটি সংগঠন তার মধ্যে একটি বিতর্কিত সংগঠন আছে তারা সাংবাদিকদের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কতিত সাংবাদিকদের তালিকা তৈরি করে সাংবাদিক সমাজকে কোলশিত করে চলে, এটা তাদের এক ধরনের ব্যাবসা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের আন্ডারে কয়েকজন সাংবাদিক নামধারী অসাংবাদিক রয়েছে তাদের কাজ হচ্ছে সাংবাদিক ম্যানেজ করা, আজও তাই হয়েছে। প্রায় ৪ঘন্টা পাউবোর অফিসের আসপাশে দেখা যায় সাংবাদিকদের ২/৩জন করে গ্রুপ করে সন্ধা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পাউবোর কর্মকর্তা মামুন হাওলাদার অফিস রুমে যাওয়া আসা করতে।
হঠাৎ করে যে ভাবে সাংবাদিকদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর রুমে যাওয়া এবং আসা প্রথমে ভেবেছিলাম মনে হয় কোন বড় ধরনের ঘটনা ঘটেছে তাই এত সাংবাদিক যাওয়া আসা করছেন। পরে জানতে পারি ৩০/৩৫জন সাংবাদিকদের বাঁধের কাজের অনিয়ম ঢাকতে ১০হাজার করে টেলিভিশনের সাংবাদিক ও তাদের ক্যামেরা ম্যানদের টাকা দিচ্ছেন পাউবোর কর্মকর্তা মামুন হাওলাদার।
তবে বিষয়টি নিশ্চিত নিয়ে কথা বলতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদারকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি, মোবাইল বন্ধ করে গা ডাকা দিয়ে লুকিয়ে পড়েন। এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি খোঁজ খবর নিচ্ছেন। উল্লেখ্য, শনিবারে হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পাউবো কর্মকর্তাগণ। এসময় জেলার কয়েক ৪/৫জন সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে যান।