তাহিরপুরে যুবককে তোলে নিয়ে হাত-পা ভেঙে পিটিয়ে হত্যার অভিযো

জাতীয়

সুনামগঞ্জ থেকে,আমির হোসেন

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের আধাঁরে এক যুবককে জোরপূর্বক বাড়িতে তোলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোশাররফ হোসেন তালুকদারের বিরুদ্ধে । নিহত যুবক উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের মুজিবুর মিয়া ওরফে বাটি মুজিবুরের ছেলে সাকিব রহমান(২৫)।

এবং অভিযুক্ত একই গ্রামের মৃত সাদেক তালুকদারের ছেলে মোশাররফ হোসেন তালুকদার(৭০)।অন্য অভিযুক্তরা হলো- মোশাররফের ছোট ভাই মহিনুর(৫০), মোশাহিদ(৪৫), মোশাররফের ছেলে রাজু(৩২), একই গ্রামের মোশাররফের ফুফাতো ভাই নুরুজ আলী(৫৫), তার ছেলে কাহার মিয়া(৩৮) ও একই গ্রামের রাফি(২৯)।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ১১টায় উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামে।

ঘটনার খবর পেয়ে আজ দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ।

এদিকে যুবক সাকিবের মৃত্যুর সংবাদ আসার পর থেকেই বাড়ি-ঘর তালা দিয়ে পালিছে অভিযুক্তরা।

নিহতের পিতা মুজিবুর মিয়া(৪৮) জানান, সোমবার রাত ১১টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘাগটিয়া গ্রামের রাফি, রাজ, নুরুজ আলী ও তার ছেলে কাহার মিয়া, মহিনুর, মোশাহিদসহ অন্তত ১০/১২জন মিলে আমার ছেলেকে উল্লাসের মোড় থেকে জোরপূর্বক ধরে মোশাররফের বাড়িতে নিয়ে যায়।

সেখানে নিয়ে গিয়ে মোশাররফ এর নির্দেশে তারা সবাই মিলে আমার ছেলেকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে ও নক উপড়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে আমি রাত ১টার দিকে মোশাররফের বাড়িতে গেলে তারা আমার উপরও আক্রমণ করে। পরে আত্মরক্ষার্থে আমি সেখান থেকে পালিয়ে আসি।

মঙ্গলবার সকালে পুলিশ আমাকে জানায়, আমার ছেলেকে তাহিরপুর হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। সেখানে গিয়ে আমার ছেলে সাকিবকে না পেয়ে পরে জানলাম সুনামগঞ্জ হাসপাতালে আছে। সেখানে গিয়েও ছেলের কোনো খোঁজ পেলাম না। পরে শুনলাম সিলেট ওসমানি হাসপাতালে রয়েছে। সেখানে গিয়ে ছেলেকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। তিনি আরো জানান, দুই বছর আগেও মোশাররফের লোকজন আমার ঘড়বাড়ি পেট্রোল দিয়ে জালিয়ে দিয়েছিল । এবং আমার ছেলেকে খুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আমি আমার ছেলে হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এদিকে সরেজমিনে অভিযুক্ত মোশাররফের বাড়িতে গেলে সেখানে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি এবং ঘরবাড়ি তালা অবস্থায় দেখা গেছে। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে মোশাররফের মোবাইল ফোন নাম্বরে কল করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, এমন একটি ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি তদন্তনাধীন, তাই এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের জোর চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *