স্টাফ রিপোর্টারঃ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ডোবার পাশ থেকে একটি মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে ৯ দিন আগে নিখোঁজ শিশু শর্মিলার জামা পাওয়া গেছে। মাথার খুলিটি শিশু শর্মিলার কি না সে নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। পুলিশ বলছে, ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যাবে মাথার খুলিটি কার।
সোমবার (৩ জুন) সকালে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়া পূর্বপাড়া এলাকার ধানখেত থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় এ মাথার খুলিটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ভূঞাপুর উপজেলার চিতুলিয়া পাড়া এলাকায় ডোবার পাশে প্লাস্টিকের ব্যাগ টানাটানি করছিল কুকুর। বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মাংসের টুকরো। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল চারদিকে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এর অদূরেই ৯ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া ১০ বছরের শিশু নওসিন ইসলাম শর্মিলার বাড়ি। গত ২৬ মে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মেয়েটি।
ধারণা করা হচ্ছে, মাথার খুলিটি শিশু শর্মিলার। তবে দেহের অন্যান্য অংশের এখনো কোনো সন্ধান মেলেনি। কোথায় রয়েছে বাকি অংশ সে নিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মাথার খুলির ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। এরপরই রহস্য উদ্ঘাটন হবে।
শিশুটির বাবা সুমন মিয়া জানিয়েছেন, ডোবার পাশ থেকে যে জামা পাওয়া গেছে সেটি নিখোঁজের সময় সেটি তার মেয়ের পরনে ছিল। গত ২৬ মে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শর্মিলা। পরে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি তার। থানায় জিডিও করা হয়। আজ যেখানে খুলি পাওয়া গেছে সেখানে আগে কয়েকবার খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে। কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।
সুমন মিয়া বলেন, ‘আজ সকালে কুকুরে মাথার খুলি নিয়ে টানাটানি করছিল। পরে লোকজনের খবর শুনে এখানে আসি। ডোবার পাশে আমার মেয়ের জামা পাওয়া গেছে। তবে এটা আমার মেয়ের মাথার খুলি কি না এটা তদন্তের পর জানা যাবে।’ তিনি পুলিশকে কঠোর তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, ভূঞাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আহসান উল্লাহসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এ ছাড়াও ঘটনাস্থালে আসেন সিআইডি ও পিবিআইয়ের টিম।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম রয়েছে। মাথার খুলির ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। পরে জানা যাবে মাথার খুলিটি নিখোঁজ শিশু শর্মিলার কি না।’