নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী চারঘাটে বাজারের সরকারী জায়গা দখল করে ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে চারঘাট-বাঘার সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব রায়হানুল হকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছে না বলে দাবি অভিযোগকারী সাব্বির হোসেনের।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দাবি দ্রæত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে অবৈধ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে। জানা যায়, আওয়ামীলীগ সরকারের দাপট দেখিয়ে চারঘাট বাজারে সরকারী জায়গা দখল করে ঘর নির্মান করেন চারঘাট-বাঘার সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব রায়হানুল হক ও তার সমর্থকরা। এতে বাজারের ব্যবসা পরিচালনায় ভাটা পড়লেও সরকারী জায়গা দখল করে ঘর নির্মান করলে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি স্থানীয়রা।
এতো দিন মুখ বুঝে আওয়ামীলীগের অনিয়ম-দুর্নীতি ও দখল দারিত্ব বিষয়ে সব কিছু সহ্য করলেও এখন প্রতিবাদ মুখর হয়েছেন স্থানীয়রা। তাই চারঘাট বাজারের ব্যবস্ততম জায়গায় অবৈধ ভাবে ঘর নির্মান বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের।
নাম প্রকাশে একাধিক ব্যাক্তি জানান, আওয়ামীলীগের সাবেক সাংসদ রায়হান ও তার সমর্থকরা অনেকটা জোর করে চারঘাট বাজারের ব্যস্ততম সরকারী জায়গা দখল করে ঘর নির্মান করেন। কাউকে কোন ধরণের তোয়াক্কা না করে ঘর নির্মান করায় ভিতরে ভিতরে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয় স্থানীয়দের।
গত ৫ আগষ্ট স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সরকারের বিদায় হলে প্রতিবাদ মুখর হয় চারঘাটের স্থানীয়রা। তাই গত ৭ দিন পুর্বে অবৈধ দখলদার ও ঘর নির্মান বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অভিযোগ লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও তিনি কালক্ষেপন করে বিষয়টি এগিয়ে যাবার চেষ্টা করছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব রায়হানুল হক কারাগারে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দাবি অভিযোগের বিষয়ে সময় দিতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে অভিযোগকারী সাব্বির হোসেনের দাবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে মাত্র ২ মিনিটের রাস্তায় সরকারী জায়গায় ঘর নির্মান করলেও তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এতে করে মানুষের ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি করেন অভিযোগ কারী।