মোঃ ইসরাফিল হোসেন, রাজশাহী:
রাজশাহীর দুর্গাপুর আড়ইল ফকির পাড়া গ্রামের মাহাবুর রহমান নামের এক কথিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোচিং সেন্টারে পড়তে আসা এক কলেজ ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করতে কুপ্রস্তাব দেওয়ার মতো ভয়ংকর এক অভিযোগ উঠেছে।
গত কয়েকদিন আগে থেকে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে উক্ত এলাকার কথিত শিক্ষক মাহাবুর রহমানের একাধিক এমন ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের হাতে হাতে।
ফাঁস হওয়া ফোনালাপে শোনা যায়, ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রীকে ফোন করে নানান রকম ভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে তাকে যৌন হয়রানি করার চেষ্টা করছে কথিত শিক্ষক মাহাবুর রহমান। এছাড়াও জানা যায় অভিযুক্ত মাহাবুর রহমান উপজেলার ২ নং কিসমত গনকৈড় ইউপির আড়ইলে অবস্থিত কমিউনিটি ক্লিনিক চাকরিও করেন। পাশাপাশি তিনি উজালখলসি এলাকায় শিক্ষার্থীদের কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে প্রাইভেট পড়ান।
স্থানীয় ও অভিভাবকরা, ওই কোচিং সেন্টারের শিক্ষকের এমন কর্মকান্ডে উদ্বেগ জানিয়েছেন। কথোপকথনের রেকর্ড নিয়ে এলাকায় সাধারণের মাঝে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা।
কুপ্রস্তাব দেওয়া মাহাবুরের এমন মনোভাবে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসীরা এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন। এছাড়াও সেখানকার কয়েক জন শিক্ষার্থী ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানালে তাদেরকেও মুখ বন্ধ করতে দেওয়া হয় হুমকি। ঘটনার বিষয়ে ফায়সালা পেতে স্থানীয়দের দ্বারস্থও হন ভুক্তভোগী ও কলেজ শিক্ষার্থী।
তবে অভিযুক্ত কথিত শিক্ষক মাহাবুর রহমানের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার নিকট প্রতিনিধি পাঠালে জানাই, এই বিষয় টি ইউএনও ম্যাডাম কে জানানো আছে উনি দেখছে বিষয়টি। পড়ে তাঁকে মুঠোফোন পেলে তিনি বক্তব্য পাল্টিয়ে বলে এটা চাদাবাজ চক্র আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। অন্য সাংবাদিকে জানায়, এটা আমার ভয়েজ নয় AI দিয়ে বানানো।
এ বেপারে জানতে চাইলে দুর্গাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: দুলাল আলম জানায়, বিষয়টি লজ্জা জনক তবে এটা আমার প্রতিষ্ঠানের বিষয় নয় শিক্ষার্থীর অভিভাবক দের অভিযোগ দিয়ে ব্যাবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেটা আমি মনে করি ।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুরুল হোদা বলেন. এমন কোনো অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যাবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে কথা বলতে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না উনার সাথে আমার কখনও পরিচয় হয়নি। ছাত্রীর পরিবার অভিযোগ দিলে সেটার ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।