নাঈম খান রাব্বি (স্টাফ রিপোর্টার): বুধবার (৫ মার্চ) টাঙ্গাইল ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার দলপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মো. রতন (২১), মাইজবাড়ী গ্রামের জহু মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন (২৬), ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫) এবং রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খেরুয়া আলম গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়া (২২)।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাদারগঞ্জগামী মাদারগঞ্জ স্পেশাল নামক একটি যাত্রীবাহী বাসে সোমবার দিবাগত রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যাত্রীবেশে আটজন ডাকাত টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের ঘাটাইল উপজেলার মাতাবাড়ী জোড়া ব্রিজ নামক স্থানে পৌঁছালে অস্ত্রের মুখে বাসটি নিয়ন্ত্রণ নেয়।
পরে যাত্রীদের টাকা, স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল ফোন নিয়ে মধুপুর এলাকায় নেমে যায়। এ সময় তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কয়েকজন আহত হন ঘটনার পরে আরিফুর রহমান নামের বাসের এক যাত্রী মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মধুপুর থানা এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) সমন্বয়ে একটি দল জড়িতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে।
সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়। বুধবার সকালে মো. রতনকে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মোনতলা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত একটি মোবাইল ফোন ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
পরে রতনের দেওয়া তথ্যমতে সুজন মিয়া ও আরিফ হোসেনকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর উড়াল সেতুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুর ১টার দিকে সাইফুল ইসলামকে আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তারা ৮ জন ডাকাতিতে অংশ নেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
ওই বাস থেকে তারা ১৩টি মোবাইল ফোন, একটি স্বর্ণের চেইনসহ প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল লুণ্ঠন করেছেন। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হবে।