মোহাম্মদ আককাস আলী :
নওগাঁর মহাদেপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ ইউনিট চালু করার জন্য দুবছর আগে তিনটি প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও আজও চালু হয়নি এই ইউনিট। অথচ তিনটি প্রকল্পই শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে বলে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে ও প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকরা অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে।কর্তৃপক্ষ বলছেন প্রকল্পটি তাদের কাছে এখনও হস্তান্তরই করা হয়নি। প্রশাসনে সৃষ্টি হয়েছে হতাশা।
একই নামে তিনটি প্রকল্প কিভাবে বাস্তবায়িত হলো তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন প্রকাশ্যে দূর্নীতি করে একই প্রকল্প তিন বার দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এটিকে সরকারি অর্থ অপচয় ও অনিয়ম দূর্নীতির অভিনব কৌশল হিসেবেই দেখছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তাদের।
করোনাকালীন সময়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবারাহ ইউনিট স্থাপন করা হয়। এই প্রকল্পে একটি কক্ষে কয়েকটি বড় অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখা হয়। সেখান থেকে প্লাম্বিং ওয়ারিংয়ের মাধ্যমে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের বেডে অক্সিজেন সরবরাহের লাইন স্থাপন করা হয়।
করোনা আক্রান্তদের অথবা অন্য কাউকে অক্সিজেন প্রয়োগের প্রয়োজন হলে ওই লাইন থেকে সকেটের মাধ্যমে অক্সিজেন প্রয়োগ করা হয়। জেলার কয়েকটি উপজেলায় করোনাকালীন সময়েই এই ইউনিট চালু হলেও মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখনও সেটি চালু হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল স্টোরের একটি রুমে মোট ১২টি বড় অক্সিজেনের সিলিন্ডার ও দুইটি বক্স রাখা হয়েছে। হাসপাতালের কোন কোন স্থানে চিকন পাইপ দিয়ে ওয়ারিং করা হয়েছে। কিন্তু অক্সিজেন সরবরাহ চালু নেই। ফলে এ থেকে রোগীরা কোন সুবিধা পাচ্ছেন না।
জানতে চাইলে ডা: খুরশিদুল ইসলাম জানান, প্রকল্পটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়েই দেয়া হয়নি। ফলে তারা এটা চালু করতেও পারেননি। প্রকল্প সংক্রান্ত কোন তথ্যই তাদেরকে সরবরাহ করা হয়নি। ফলে এই প্রকল্পে কি কি সরঞ্জাম স্থাপন করা হবে, সেগুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হবে, সেগুলো রক্ষণাবেক্ষনই বা কিভাবে হবে তাও তিনি জানতে পারেননি। এসংক্রান্ত কোন নথিপত্রও তার কাছে নেই বলেও জানান তিনি।