মো: জাহাঙ্গীর আলম,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর দুর্গাপুরে ধর্ষণের শিকার হয়ে এক নারী চার মাসের অন্তসত্বা হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠছে। এ ঘটনায় ওই নারী বিয়ের দাবিতে দেবরের বাড়িতে অনশন দিয়েছেন। তবে আগে থেকে বাড়ি থেকে পলাতক রয়েছেন ওই নারীর দেবর ইয়ামিন আলী (২২)।
ইয়ামিন দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর খুলুপাড়া গ্রামের ইউসুব আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দেববের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন দেয় ভুক্তভোগী ওই। ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে পৌর এলাকার দেবীপুর খুলুপাড়া গ্রামে এক মৎস্য ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।
বিয়ের পর প্রতিবেশী সর্ম্পকে দেবর ইয়ামিনের সঙ্গে পরকীয়া সর্ম্পক গড়ে উঠে। এ সময়ে তার সঙ্গে শারিরিক সর্ম্পকের ফলে আমি অন্তসত্বা হয়ে পড়ি। পরে তাকে বিয়ের চাপ দিলে সে আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। ওই নারী আরও বলেন, আমি অন্তসত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি আমার স্বামী জেনে যায়।
পরে স্বামীও আমাকে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে এ ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও ইয়ামিনের পরিবার সালিশ বৈঠকে আসেন না। উল্টো ইয়ামিনকে বাড়ি থেকে পালিয়ে দিয়েছেন তার পরিবার।
জানতে চাইলে দুর্গাপুর পৌরসভার ১নম্বর ওয়াড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ছিল। পরে আমি ইয়ামিনের পরিবার কে অনেক বার আপোষ মীমাংসার জন্য বললেও তারা আসেন নি।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, দুপুরে ছেলের বাড়িতে উঠার পর ওই নারী এখন থানায় এসেছেন। আমরা তাকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগের প্রক্রিয়া চলছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।