২৫ বছর পর যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার ২

রাজশাহী

মোঃ রেজাউল করিম,নিজস্ব প্রতিনিধি:

নাটোরের নলডাঙ্গা থানাধীন পশ্চিম মাধনগর এলাকায় একটি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুইজন আসামি কে ২৫ বছর পর গ্রেফতার করেছে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ।

বুধবার (২৩ আগস্ট) তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এবং র‍্যাব-১, সিপিসি-৩, ঢাকার সহযোগীতায়, ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকা হইতে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা জিআর-২৪১/৯৮ (নাট) এর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকা অর্থদন্ড প্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানা ভুক্ত আসামী ১| মোঃ শাহাদৎ হোসেন (৭০), পিতা- মৃত শফি প্রাং, ২| মোছাঃ নুরজাহান বেগম (৬৫), স্বামী- মোঃ শাহাদৎ হোসেন, উভয়ের সাং- পশ্চিম মাধনগর, থানা- নলডাঙ্গা, জেলা- নাটোর কে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য যে, ১৯৯৮ সালে হত্যার উদ্দেশ্যে নলডাঙ্গা থানাধীন পশ্চিম মাধনগর গ্রামের আমজাদ হোসেন কে তাঁর নিজ বাড়ীতে ঢুকে স্বামী-স্ত্রী দুইজনে মিলে হত্যা করে। পরে ভিকটিমের ছেলে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করলে তৎকালীন অবিভক্ত নাটোর সদর থানার মামলা নং-২৮ তারিখ-১৪/০৬/১৯৯৮ খ্রিঃ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয় এবং উপরোক্ত ০২ নং আসামী মোছাঃ নুরজাহান বেগম’কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

কিন্তু একই মামলার প্রধান আসামী মোঃ শাহাদৎ হোসেন হত্যাকান্ডের পর থেকে আত্নগোপনে থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় না।

পরবর্তীতে এই মামলার ২নং আসামী মোছাঃ নুরজাহান বেগম, বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে এসে সেও কৌশলে তাঁর স্বামী এই মামলার প্রধান আসামী মোঃ শাহাদৎ হোসেন এর সঙ্গে আত্নগোপনে চলে যায়। মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ২০১৬ সালে বিচার কার্যক্রম শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামীদ্বয়কে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করে রায় ঘোষনা করে।

দীর্ঘ ২৫ বছর পলাতক থাকার পর আসামীদের বুধবার ২৩/০৮/২০২৩ ইং তারিখ গ্রেফতার করে নলডাঙ্গা থানায় আনা হয়।

নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম জানান, বিজ্ঞ আদালত হতে নলডাঙ্গা থানাধীন পশ্চিম মাধনগর গ্রামের আমজাদ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্বামী-স্ত্রী দুইজন দীর্ঘ ২৫ বছর থেকে পলাতক ছিলেন। আমরা তথ্য প্রযুক্তি এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে র‍্যাব-১, সিপিসি-৩, এর সহযোগীতায় স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দের ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *