লিয়াকত হোসেন রাজশাহী:
রাজশাহী মহানগরীর উপরশহরে যৌতুকের দাবিতে আমিনা খাতুন নাসরিন (২৮) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ৩০শে আগস্ট বুধবার রাতে ওই গৃহবধূ আরএমপি বোয়ালিয়া মডেল থানায় অভিযোগ
দায়ের করেছেন।
আমিনা খাতুন খিরসিন, নতুন ফুদকিপাড়া,শাহমুখদুম এলাকার আলম মিয়ার মেয়ে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রায় ১৪ বছর আগে নগরীর উপশহর পানির ট্যাংকি এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে নিয়াজ মোর্শেদ রাব্বির(৩৫), সাথে নাসরিনের ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে শাশুড়ি নুসরাত আরার (৫০) প্ররোচণায় রাব্বি যৌতুকের দাবীতে ভুক্তিকরি শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে।
গৃহবধূর পরিবার মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে দেড় লাখ টাকার বিভিন্ন আসবাবপত্র ও নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে মেয়ে জামাইকে দেন। এরপরও আরও ১ লক্ষ টাকা দাবী করে।
এরপরও এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ অব্যাহত রাখেন রাব্বি। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী বিষয়টি নিয়ে গত ২৮ তারিখ মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম বিবাদীর বাড়িতে গিয়ে মীমাংসা করে, ভুক্তভোগী আমিনা খাতুনকে তার দুই বাচ্চা সহ বাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে আসে।
পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করায় ২৯ শে আগস্ট ক্ষিপ্ত হয়ে রাব্বি তার স্ত্রীকে এলোপাথাড়ীভাবে কিল, ঘুষি মেরে জখম করে। পরবর্তীতে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। উক্ত সময়ে আমার ছোট ছেলে মেয়ে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে।
আমার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে রাজশাহী মেডিকেলের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আমাকে ওসিসি বিভাগ, ওয়ার্ড নং-৪১ ভর্তি করে।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত স্বামী রাব্বির মুঠোফোনে ফোন দিলে ফোন রিসিভ না করে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাওয়ার্দী বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।