মো: জাহাঙ্গীর আলম :
“কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার জন্য শিক্ষক, শিক্ষক স্বল্পতা পূরণ বৈশ্বিক অপরিহার্যতা “–প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বাগমারা তাহেরপুর পৌরসভা জামগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে ” বিশ্ব শিক্ষক দিবস -২০২৩” উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষকদের বলা হয় জাতি গঠনের কারিগর। শিক্ষকদেরকে স্মরণ করা ও তাঁদেরকে সম্মান জানানোর জন্য ইউনেস্কো কতৃক ১৯৯৪ সাল থেকে প্রতি বছর অক্টোবরের ৫ তারিখে বিশ্বব্যাপী উদযাপন করা হয় বিশ্ব শিক্ষক দিবস।
বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগে পালিত হয় দিবসটি। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৫অক্টোবর) সকাল ১০ টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে র্যালী বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বিদ্যালয়ে এসে তা শেষ হয়। র্যালীতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক -শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আসন অলংকৃত করেন, জামগ্রাম হাইস্কুলের শিক্ষগণ, সভায় সভাপতিত্ব করেন, জামগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পিএম মো: গুলবার রহমান। আলোচনা সভায় শিক্ষক -শিক্ষার্থীগণ মুক্ত আলোচনা করেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাত্র -ছাত্রী দের নিকট শিক্ষক দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে সদুপদেশ দেন।
সত্যিকথা বলতে কি–বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্হায় পূর্বের তুলনায় অনেক উন্নয়ন করেছে সরকার। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার উদ্দেশ্য হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শিক্ষা নিশ্চিতকরণ। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, জ্ঞান ও প্রযুক্তির এবং কৃত্রিম বুদ্ধির শিক্ষা ও শিক্ষা প্রক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন শিক্ষক।
কারণ, একজন শিক্ষক এবং শিক্ষা বিশেষজ্ঞই পারেন,তথ্য -উপাত্তের ভিত্তিতে জ্ঞানের অজানা জগত এবং ক্রমবর্ধমান জ্ঞানের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সারা বিশ্বে দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন জ্ঞানের সংযোগ ঘটাতে। কিন্তু বাংলাদেশের ন্যায় সারা বিশ্বে এমন শিক্ষকদের শিক্ষক স্বল্পতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এ জটিল পরিস্থিতির পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেমন: শিক্ষকদের কাজের চাপ বৃদ্ধিতে পেশাগত অবস্থার অবনতি হওয়ায় শিক্ষকতা পেশা তা স্বকীয়তা হারাচ্ছে।
প্রকৃত অর্থে যাঁরা বিভিন্ন সময়ে পাঠদান করে জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে সাহায্য করেন, তাঁরাই মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক । নি:স্বার্থভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া শিক্ষকদের জন্যই আজকের এ দিন। “তাই সারাবিশ্বে শিক্ষকদের সম্মানে পালিত হচ্ছে “বিশ্ব শিক্ষক দিবস”।