বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ আগামী ২১ মে। উক্ত নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রার্থীরা। দ্বিতীয় বারের মতো ফুটবল প্রতীক নিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়েছেন মচমইল ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক শাহিনুর খাতুন। তিনি উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি।
ঘনিয়ে এসেছে নির্বাচনের দিন। দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে ততোই বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রচারণা। মাঠ-ঘাট, গ্রাম, পাড়া-মহল্লা আর বাজারঘাট সবখানে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। বাগমারায় এবার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্ব›দ্বীতা করলেও গণজোয়ার উঠেছে কেবল ফুটবল প্রতীকের।
সহকারি অধ্যাপক শাহিনুর খাতুন দীর্ঘ সময় ধরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে ঘুরে লোকজনের মাঝে ভোট প্রার্থনা করছেন। গত নির্বাচনে সামান্য ভোটে পরাজিত হলেও এবার ফুটবল প্রতীক ঠাঁই করে নিয়েছে ভোটারদের মন। সে কারণে উপজেলার সর্বত্র চলছে ফুটবল প্রতীকের গুঞ্জণ।
ছোট-বড় সবার মুখে কেবল শাহিনূর খাতুনের ফুটবল। সে কারণে বিপুল ভোটে বিজয় হতে পারে এবার ফুটবল প্রতীক। বিজয়ের আশা নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন শাহিনূর খাতুন। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং বাজারে গিয়ে নারী-পুরুষ সকলের সাথে গণসংযোগ করেছেন তিনি।
এরই মধ্যে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে সবার মাঝে পরিচিতি পাওয়ায় ভোটারদের মাঝে আলোচনার শীর্ষে এখন শাহিনুর খাতুন। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড সাধারণ মানুষের নিকট তুলে ধরছেন। এদিকে মচমইল গ্রামের আপেল মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা এবার ফুটবল প্রতীকে ভোট দেবো। ফুটবল প্রতীকের বিজয় হলে অনেক অনিয়ম কমে যাবে।
শাহিনূর খাতুনের সততা আর উন্নয়নমূলক মনোভাবের কারনে স্বচ্ছতার সাথে পরিচালিত হবে সকল কাজ। ভ্যান চালক আব্দুল গণি বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ভোট দিয়ে আসছি। শাহিনূরের মতো পরিষ্কার প্রার্থী পায়নি। এবার আমরা শাহিনূরের ফুটবল প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবো। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক কলেজ শিক্ষক বলেন, একজন ব্যক্তির দ্বারা তখনই উন্নয়ন সম্ভব যখন সে শিক্ষিত এবং সৎ হবে।
তাহলে তার দ্বারা অবৈধ কোন কাজ সংগঠিত হবে না। শিক্ষার একটা মূল্য আছে। আমি মনে করি শাহিনূর খাতুন একটি কলেজের সহকারি অধ্যাপক। সে ক্ষেত্রে ভোটাররা তার ফুটবল প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে। ভোটাররা মূলত তেমন পক্ষ নেয় না। ভোটাররা সব সময়ই ভালো প্রার্থীর পক্ষে থাকে।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সহকারি অধ্যাপক শাহিনুর খাতুন বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছি। ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির সাথে জড়িত। চাকরীর পাশাপাশি রাজনীতির মাধ্যমে উপজেলাবাসীর পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। গত নির্বাচনে সামান্য ভোটে পরাজিত হয়েছি।
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি দ্বিতীয় বারের মতো মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। জনগণ আমার সঙ্গে আছে। আমি আশাবাদী উপজেলাবাসী আমার ফুটবল প্রতীকে বিপুল ভোট দিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত করবে।