কেয়ামতের দিন যে আমল হবে জ্যোতি ও মুক্তির উপায়

ইসলাম

ইসলামীক ডেক্সঃ

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্তে ১৭ রাকাত নামাজ ফরজ, যা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ছেড়ে দেওয়া মহাপাপ। পাঁচ ওয়াক্তে ১২ রাকাত নামাজ সুন্নতে মুআক্কাদা, তিন রাকাত নামাজ ওয়াজিব। এছাড়া মাকরুহ ও নিষিদ্ধ সময়গুলো বাদ দিয়ে সারাদিনই নফল নামাজ আদায় করা যায়। তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত, আওয়াবিনসহ দিনের বিভিন্ন সময়ের নফল নামাজের বিশেষ ফজিলতও রয়েছে।

কেয়ামতের দিন নামাজ হবে মানুষের জন্য জ্যোতি ও মুক্তির উপায়। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে নবিজি (সা.) বলেছেন,

مَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَتْ لَهُ نُورًا وَبُرْهَانًا وَنَجَاةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمن لم يحافظ عَلَيْهَا لم يكن لَهُ نور وَلَا برهَان وَلَا نجاة وَكَانَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ قَارُونَ وَفِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَأُبَيِّ بْنِ خَلَفٍ

যে ব্যক্তি নামাজের হেফাজত করবে (অর্থাৎ নিয়মিত যথাযথভাবে আদায় করবে), তা কেয়ামতের দিন তার জন্য জ্যোতি, দলিল ও মুক্তির উপায় হবে। আর যে ব্যক্তি নামাজের হেফাযাত করবে না, তার জন্য এটা জ্যোতি, দলিল ও মুক্তির উপায় হবে না। কেয়ামতের দিন সে কারুন, ফেরাউন, হামান ও উবাই বিন খালফের সাথে থাকবে। (মুসনাদে আহমাদ)

নামাজকে মানুষের সর্বোত্তম আমল উল্লেখ করে আরেকটি হাদিসে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

اسْتَقِيمُوا وَلَنْ تُحْصُوا وَاعْلَمُوا أَنَّ خَيْرَ أَعْمَالِكُمُ الصَّلاَةُ

তোমরা দ্বীনের উপর অবিচল থাকো, যদিও তোমরা আয়ত্তে রাখতে পারবে না। জেনে রাখো, তোমাদের আমলসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হল নামাজ। (ইবনে মাজা) ’

তাই নামাজের ব্যাপারে খুব মনোযোগী হওয়া আমাদের কর্তব্য। ফরজ ও সুন্নত নামাজগুলো আদায় করার পাশাপাশি দিন ও রাতের নফল নামাজগুলো যথাসাধ্য আদায় করা উচিত। নামাজ আল্লাহর কাছে নিয়ে যায় ও জান্নাতের নিকটবর্তী করে। নামাজের ব্যাপারে উদাসীনতা ধ্বংস ও দুর্ভোগ ডেকে আনে। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন,
فَوَیۡلٌ لِّلۡمُصَلِّیۡنَ الَّذِیۡنَ هُمۡ عَنۡ صَلَاتِهِمۡ سَاهُوۡنَ

দুর্ভোগ সেসব নামাজ আদায়কারীর, যারা নিজেদের নামাজের ব্যাপারে উদাসীন। (সুরা মাউন: ৩, ৪) এখানে নামাজের ব্যাপারে উদাসীন মুসলমানদের সাবধান করা হয়েছে যারা নামাজের ব্যাপারে উদাসীন থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *