ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে প্রতিবন্ধী নাতি বউকে ধর্ষণ করতো নানা

রাজশাহী

পুঠিয়া প্রতিনিধি: মো : রকিবুল হাসান সনি:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় খাবারের সাথে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে প্রতিবন্ধী নাতি বউকে র্ধষণ করার অভিযোগ উঠেছে নানা শ্বশুরের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগি গৃহবধূ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ মামলা গ্রহণ করেননি। বর্তমানে ওই ভুক্তভোগি বিচারের পাওয়ার আশায় এলাকার গণমান্য মানুষের দ্বারে ঘুরছেন। আর ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে তৎক্ষনিক পালিয়ে গেছে অভিযুক্ত নানা শ্বশুর।
গত মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) উপজেলার পৌর সদরের রামজীবনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নানার নাম শহিদুল ইসলাম (৫৫)। তিনি ওই গ্রামের মৃত এচের উদ্দীনের ছেলে।

ভুক্তভোগি ওই গৃহবধূ বলেন, তার নানা শ্বশুরের কোনো ছেলে মেয়ে নেই। বাড়িতে শুধু নানা আর নানি থাকেন। নানার ছেলে মেয়ে না থাকায় বাড়িটি নাতি বউকে লিখে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের ওই বাড়িতে তাদের বসবাস করতে দেন।

সম্প্রতি কিছুদিন যাবার পর নানা শ্বশুর রাতের খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিত। এক পর্যায়ে (নাতি ও তার স্ত্রী) অচেতন হয়ে গেলে নানা তাদের বসত ঘরে প্রবেশ করতো। এরপর তাকে মাঝে মধ্যে ধর্ষণ করতো। বিষয়টি তিনি শারীরিক ভাবে অনুভব করতে পারলেও কারো সাথে বিষয়টি শেয়ার করেনি।

ভুক্তভোগি বলেন, গত মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাতে তার স্বামী বাহির থেকে খাবার খেয়ে আসে। আর তিনি বাড়িতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায়। আর ওই রাতে একই ভাবে তার নানা শ্বশুর ঘরে প্রবেশ করে। এরপর শারীরিক সর্ম্পক শুরু করে। এ সময় তার স্বামী তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগি অভিযোগ নিয়ে থানায় গিয়েছি কিন্তু পুলিশ তার মামলা নেয়নি। এমনকি বিচার চেয়ে কাউন্সিলর ও সমাজের প্রধানদের দারে ঘুরেও কোনো লাভ হচ্ছে না। ভুক্তভোগি বলেন, অভিযুক্ত নানা এলাকার একজন প্রভাবশালী নেতার মাধ্যমে সবখানে ক্ষমতা খাটাচ্ছেন। এখন এলাকার কয়েকজন মানুষ উল্টা তার নামে নানা গুজব ছড়াচ্ছেন।

পৌর কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম রুহুল বলেন, ভুক্তভোগি ওই গৃহবধূ স্বামীর বাড়ি চারঘাট উপজেলা এলাকায়। তার স্বামী এখানে একটি মাছ আড়তে শ্রমিক হিসাবে কাজ করে। সে সুবাধে এই এলাকায় তার নানার বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে প্রায় ৬ মাস যাবত বসবাস করছে। আর সে সুযোগে ওই ব্যাক্তি কৌশলে তার নাতি বউকে মাঝে মধ্যে ধর্ষণ করে।

পরে দুই তিনদিন আগে বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক ভাবে বিচার করে দিতে ভুক্তভোগি ওই নারী ও তার স্বামী এসেছিলেন। যেহেতু বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর তাই তাদেরকে থানায় অভিযোগ করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম পলাতক থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, র্সবশেষ শারীরিক সম্পর্কে ঘটনার দুইদিন পর ওই গৃহবধূ থানায় অভিযোগ জানাতে এসেছিল। অপরদিকে ওই ঘটনার পর তার স্বামীর সাথেও শারীরিক সম্পর্ক করেছে।

সে কারণে তার স্বাস্থ্য পরিক্ষা করালেও সঠিক প্রতিবেদন আসবে না। তাই ভুক্তভোগিকে আদালতে মামলা করতে বলা হয়েছে। আর রাজনৈতিক এক নেতার চাপে থানায় অভিযোগ গ্রহণ না করার বিষয়ে জানতে চাইলো তিনি বলেন, এটা একটা গুজব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *